আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবো না আইরা আমি নিশাত কে ভালোবাসি! বিয়ে বাড়িতে বর এর মুখে এই কথা শুনে সবাই অবাক। আইরা বলে কি বলছো আবির আমাদের তিন বছর এর সম্পর্ক আর তুমি বলছো তুমি অন্য কাউকে ভালোবাসো এটা মিথ্যা আবির তুমি মজা করছো। আবির বলে মুটেও মজা না আইরা আমি নিশাত কে ভালোবাসি আর তাকে বিয়ে করবো। নিশাত এবার চিৎত্কার করে বলে বেইমান বিশ্বাস ঘাতক তাহলে আমার তিন বছর এর ভালোবাসা কি ছিলো বল কি ছিলো বলেই নিছে বসে চিৎত্কার করে কাঁদতে থাকে। আবির এর বাবা এসে আবির এর গালে ঠাস করে থাপ্পর মেরে বলে আমার লজ্জা লাগছে আমি তোর মতো একটা জানোয়ার কে জন্ম দিয়েছি চিৎ তুই যখন আইরা কে বিয়ে করতে পারবি না তাহলে কেনো এই বিয়েতে রাজি হলি। আবির বলে তোমাদের জোর এর জন্য আর আইরা ভয় দেখিয়েছে ও আত্হত্যা করবে। আইরা এবার উঠে আবির কে থাপ্পর মেরে বলে বেইমা আমি কখোন তোকে এই কথা বলেছি। আমি তোকে অভিশাপ দিলাম তুই কখনো সুখি হতে পারবি না আমার সাথে প্রতারনা ফল তোকে পেতে হবে বলেই বিয়ের আসর থেকে দৌরে চলে যাই।
আবির আর আইরার তিন বছর এর রিলেশন আজকে পারিবারি ভাবে বিয়ে হতে যাচ্ছে। আবির আইরার বাবার বন্ধুর ছেলে পারিবারিক একটা অনুষ্ঠানে দেখা হয় দুইজনের তখন থেকে বন্ধুত্ব এরপর আস্তে আস্তে তা ভালোবাসতে পরিনত হয়। আইরা নিজের ঘরে গিয়ে আবির আর তার ছবি টা ফেলে চিৎত্কার করে কেঁদে বলে কেনো এমন করলে আবির আমার সাথে কেনো করলে এটা আমি তো তোমাকে নিজের থেকে ও বেশি ভালোবাসি কেনো প্রতারনা করলে বলে কাঁদতে থাকে। এই দিখে আবির নিশাত এর বিয়ে হয়ে যাই। আবির এর বাবা আইরার বাবার হাত দরে বলে আমাকে মাফ করে দিস তুই বন্ধু। আইরা মামুনির বিয়ে আমি আমার বড় ছেলে আরসাল এর সাথে দিতে চাই আমি আরসাল কে খবর দিয়েছি। একটু পর আরসাল আসে। আইরার ভাই আরহাম আইরার পাসে বসে। আইরা ভাই কে দেখে জরিয়ে দরে কেঁদে দেই আর বলে ভাইয়া আমার এমন কি দোষ ছিলো আবির আমাকে কেনো টকালো?আরহাম বলে তোর কোনো দোষ নেই পুচকি আবির তোর যোগ্য না আমি আগে বলেছিলাম ও ভালো না তুই তো আমাকে বিশ্বাস করলি না। আইরা বলে সরি ভাইয়া বলেই কাঁদতে থাকে। আরসাল বলে আর কান্না না এবার চল বাহিরে তোর বিয়ে হবে আরসাল এর সাথে। আরসাল এর নাম শুনে আইরা ভয়ে ডুগ গিলে বলে ভাইয়া উনি তুমি তো যানো আমি আরসাল ভাই কে কতো ভয় পাই। আরহাম বলে আরসাল আমার বেস্ট ফেন্ড ও খুব ভালো দেখিস বোন তুই সুখি হবি। আবির যদি তোকে পেলে আরেক জন কে বিয়ে করতে পারে তাহলে তুই কেনো পারবি না তুই ও আবির কে দেখিয়ে দে তুই দুর্বল না। ভাই এর কথা শুনে আইরা মনে মনে বলে ভাইয়া ঠিক বলেছে আবির যদি সুখে থাকে আমি কেনো পারবো না আমি ও আরসাল ভাই কে বিয়ে করবো আর এই বাসাই ডুকবো তোমার বিনাশ আমি নিজের হাতে করবো আবির বলেই কান্না মুছে বলে ভাইয়া আমি রাজি বলেই আরহাম এর সাথে বের হয়। আইরা কে আসতে দেখে আবির অবাক আইরা যে বিয়ের জন্য রাজি হবে আবির ভাবতে পারেনি। এই দিখে আরসাল এর কোনো ভাব মতি নেই এক দেনে ফোন টিপছে । আইরা আবির এর দিখে ঘৃনা ভরা দৃষ্টি তে থাকাই যেটা আবির বুজতে পারে। আর আইরার সেই ঘৃনা যেনো আবির মানতে পারছে না। আবশেষে আইরা আর আরসাল এর বিয়ে হয়ে যাই। আবির এই জিনিস টা মুটেও মানতে পারেনি কিন্তু কেনো আবির যানেনা হয়তো তিন বছর সম্পর্ক ছিলো বলে। আইরা আরসাল আবির নিশাত কে নিয়ে সবাই চৌধুরি বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে যাই। আসমা চৌধুরি দুই ছেলের বউ কে বরন করে ঘরে তুলে। নিশাত আইরার কানে কানে বলে বলেছিলাম না আবির কে কেরে নিবো দেখলি নিলাম। আইরা বলে তুই সব সময় অন্যর করুনা নিয়ে থাকিস এবার ও নিলি আমার থেকে তবে তোর এই সুখ বেশি দিন টিকবে না নিশাত মনে রাখিস বলেই ভিতরে ডুকে যাই। নিশাত রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বলে তোকে দেখে নিবো আগে এই বাড়িতে যেই উদ্দেশ্যে এসেছি তা সফল করি আর এই গাঁধা আবির এর থেকে মুক্তি নিবো এরপর বলেই ভিতরে ডুকে যাই। নিশাত আর আইরা ইন্টার কমপ্লিট করেছে। আইরার বয়স 18 নিশাত এর 20 আইরার দুই বছর এর বড়ো...
চলবে....
#আড়ালে_ভালোবাসি
#পর্ব: 1
#লেখনিতে:রিদিকা আফরোজ রোজা