" বিয়ের আগে আমার স্ত্রী সন্তানসম্ভবা হয়ে গেলো।অবশ্য ওর গর্ভের সন্তানটা ছিলো আমার নিজের। তাই আমি আর ওকে এবরশন করাতে বলিনি।কিছুদিন পরে আমরা বিয়ে করে নিয়েছিলাম।
কিন্তু আমি খুব বড় একটা পাপ করে ফেলেছি। সন্তানটি এ পৃথিবীতে ভূমিষ্ট হওয়ার দুই মিনিটের মাথায় আমি ওকে খুন করে ফেলি। খুবই নির্মম ভাবে খুন করি৷ একটা রড দিয়ে পিটিয়ে মাথা থেঁতলে দেই৷"
উপরের কথাগুলো ডাক্তার সৃজনের।
তিনি খুবই ভালো এবং মেধাবী একজন সার্জন বিশেষজ্ঞ।সফলভাবে অস্ত্রপাচারের জন্য তিনি খুবই বিখ্যাত ছিলেন। তবে কোনো এক অজানা কারণে তিনি তার পেশা থেকে রিটায়ার্মেন্ট এ চলে গেছেন।
মানুষের যখন করার মত কোন কাজ থাকেনা তখন তারা এমন আজগুবি গল্প ফাঁদতে পছন্দ করেন। ঠিক এ মুহুর্তে তার এমন অযাচিত গল্পে বর্ণ খুব বিরক্ত হচ্ছে।
বর্ণ ইসলাম গত দুবছর ধরে যে বাড়িটায় ভাড়া আছে, সে বাড়ির পাশের বাড়িটাতেই থাকেন ডাঃ সৃজন। ডাঃ সৃজন বর্ণকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি আমার কথা শুনতে খুব বিরক্তবোধ করছেন! তাইনা?
আমি খুবই দুঃখিত, আসলে কেনো যেনো মনে হলো আপনাকে আমার কথাগুলো জানানো উচিৎ৷ আমি ঐ বাচ্চাটিকে হত্যা করেছিলাম, এটা জানার পর আমার স্ত্রী আমাকে দুটো অভিশাপ দিয়েছিলো। সে অভিশাপ এখনো বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি আমি। খুব কষ্টকর আমার জীবন। তবে আপনাকে আমি আর বিরক্ত করব না, যদি ইচ্ছে হয় বাকি ঘটনা শোনার, আমার বাসায় একদিন চা খেতে চলে আসবেন। আমি আজ উঠি।
বলেই ডাঃ সৃজন চলে গেলেন সেখান থেকে।
একটা লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে পরে গেলো বর্ণ। বর্ণ যে তার উপর বিরক্ত হচ্ছিলো, কিভাবে যেন সেটা তিনি টের পেয়ে গেছিলেন।প্রতিবেশী হিসেবে ডাক্তার সৃজন মন্দ না।একা থাকার কারণে বর্ণকে বেশ কয়েকবার ছোট বড় কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কেউ পাশে না থাকলেও তখন এই ডাক্তার সৃজন বিনা স্বার্থে বর্ণকে সাহায্য করেছেন।অকৃতজ্ঞতার জন্য নিজের উপর রাগ হচ্ছে বর্ণর। আসলে ও খুব জটিল একটা রহস্য নিয়ে গভীর চিন্তায় মগ্ন ছিলো। এমন সময় অযাচিতভাবে ডাঃ সৃজনের আগমন ঘটায় এবং আজগুবি কথাবার্তা বলতে শুরু করায় সে একটু বিরক্তবোধ করেছে। আরো বেশি বিরক্ত হয়েছে ডাক্তার মানুষ হয়েও এসব অভিশাপ টবিশাপ এ বিশ্বাস করায়।
ইদানিং আবহাওয়ার ভীষণ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শীত আসবে আসবে ভাব। সকালে শিশির পরে। সন্ধ্যার আগে ঠান্ডা বাতাস বয়।
এ সময়ে ঘুমানোর আগে ফ্যান ছেড়ে কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুতে বেশ ভালো লাগে।
গাছের পাতারা প্রাণ হারিয়ে- শুকিয়ে ঝড়ে ঝড়ে পরতে শুরু করে।
এমন এক পত্রঝড়া বিকালেই,ওয়ান টাইম কাপের ধূমায়িত টাটকা গরম চায়ে চুমুক দিতে দিতে বর্ণ উপস্থিত হয় ডাঃ সৃজনের বাড়ি। এ বাড়িতে আগে কখনো পা রাখেনি বর্ণ, এবারই প্রথম আসা। কলিংবেল চাপার বেশ কিছুক্ষন পরে ডাঃ সৃজন দরজা খুলে দেয়। বর্ণকে দেখে একটু হেসে ভেতরে আসতে বলে।
ডাঃ সৃজনের দোতলা বাড়িটার ভেতরে পা দিতেই বর্ণর মাথা ঘুরে যায়। তার বাসার ভেতরের প্রতিটা জিনিস যেন একে অন্যের সাথে সুন্দরের প্রতিযোগিতায় নেমেছে।যেমন সুন্দর বসার সোফা, তেমন সুন্দর সেন্টার টেবিল। দেয়ালে দেয়ালে এন্টিকের জিনিসপত্র ঝুলানো।তার মধ্যে স্থান পেয়েছে একটা হরিণের শিং ওয়ালা মাথার খুলি। সেন্টার টেবিলটার পুরোটাই একটা একুরিয়াম। উপরিভাগটায় মোটা কাঁচের আস্তরণ দিয়ে টেবিল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। একুরিয়ামের ভেতরে ঘোরাফেরা করে বেড়াচ্ছে রঙবেরঙের বাহারী ক্লাউনফিশ।
ড্রয়িং রুমের একপাশে বিশাল আকৃতির চারটা শেলফ। প্রতিটা শেলফ এ কম করে হলেও পাঁচ হাজার বই হবে। আর চারটা শেলফ এ সব মিলিয়ে প্রায় কুড়ি হাজার বই। এত বই দেখেই মনে হচ্ছে লোকটি একটি বই পড়ুয়া মানুষ। জ্ঞানী মানুষ।ডাঃ সৃজনের রুচির প্রশংসা না করে পারা যায়না। এমন একটা রুচিসম্মত বই পড়ুয়া মানুষের কথাবার্তা প্রচন্ড মনোযোগ দিয়ে শোনা উচিত।তারা আবল তাবল বকলেও তাদের কথায় অনেক জ্ঞান গরিমা থাকে।
সেদিন উনি যে কথাগুলো বলেছেন তা নিছক গালগল্প বলে উড়িয়ে দিলেও এখন বর্ণ কিছুতেই তার কথাকে পাগলের প্রলাপ ভাবছে না।
ডাঃ সৃজন বর্ণকে সোফার উপরে বসতে বলে ভেতরে চলে গেলেন।
বর্ণ সোফায় বসলো। মনে হলো কোন মাখনের দলার উপরে সে বসেছে। এত নরম সোফায় বসা মাত্রই ঘুম চলে আসলো। কিন্তু এখন কিছুতেই ঘুমানো যাবেনা৷ ভদ্রলোক চা আনতে ভেতরে গেছেন। চা এনে নিশ্চয়ই বর্ণের সাথে তার গুরুত্বপূর্ণ কথাবার্তা শুরু করবেন।বর্ণ চা খেতে খেতেই ডাঃ সৃজনের বাসায় প্রবেশ করেছিলো। তবুও পুনরায় চা খেতে তার আপত্তি নেই।
বেশ কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পরে ভদ্রলোক চা হাতে ফিরে আসেন। চায়ের কাপগুলো দেখে খুব স্বাভাবিক কাপ মনে হচ্ছে না। কিন্তু এখন এই চায়ের কাপ নিয়ে ওনাকে প্রশ্ন করা উচিৎ হবে না। বর্ণ চায়ে চুমুক দিতে দিতে মনোযোগী শ্রোতা হয়ে সামনে বসে থাকা ডাঃ সৃজনের দিকে তাকায়।
ডাঃ সৃজন ঠান্ডা গলায় বলতে শুরু করে,
আমি আসলে খুব হতাশ একজন মানুষ। আমি বুঝতে পারছিনা আপনাকে কোনটা আগে বলবো আমার সন্তান হত্যা করার ঘটনা নাকি আমার উপরের অভিশাপের ঘটনা!
বর্ণ - আমার হাতে আজ কোনো কাজ নেই। আপনি যা ইচ্ছা বলুন। আমি মনোযোগী স্রোতা হয়ে শুনছি। আসলে ঐদিনের জন্য দুঃখিত। একটা রহস্য সমাধানের চেষ্টা করছিলাম। তাই আপনার কথায় মনোযোগী হতে পারিনি।
- কোজো সমস্যা নেই। তা তোমার রহস্যের সমাধান হলো?
- জ্বী না। হয়নি।
- তুমি খুব ব্রিলিয়ান্ট। কোন না কোন একটা সমাধান পেয়ে যাবে দ্রুত।
- আশা রাখছি, এবার শুরু করুন তবে,
- বেশ
বলছি তবে,
এর আগে একটা টুকরো ঘটনা বলে নেই। যেটা দেশের সাধারণ মানুষরা জানেনা। সরকার একটা পরিসংখ্যান শুরু করেছিলো। এ দেশের সবথেকে শক্তিশালিতা যুবক কে,
এ পরিসংখ্যান প্রায় দু'বছর ধরে চলে। এবং বারযাখ নামের একজন উপজাতি যুবককে খুঁজে বের করা হয়। যে উচ্চতায় ৬ ফিট। গায়ের রঙ শ্যামলা, নাক বোঁচা এবং অসম শক্তিধর। দশ বারো জন সাধারণ যুবক খালি হাতে ওকে ঘায়েল করতে পারে না।
এক ঘুষিতে সিমেন্টের দেয়াল ভেংগে ফেলতে পারে। সরকার ওকে খুঁজে পাওয়ার পর আরেকটা পরিসংখ্যান শুরু করলো।
এ দেশের সবথেকে সুন্দরী-রূপবতী যে মেয়েটি আছে তাকে খুঁজে বের করার জন্য। এর পেছনে উদ্দেশ্য একটা-ই।
দেশের সবথেকে রূপবতী মেয়ে এবং সবথেকে শক্তিশালী যুবকের মিলন ঘটিয়ে একটি ছেলের এবং একটি মেয়ের জন্ম দিবে। তাদের ধারণা এ দুজনের থেকে জন্ম নেয়া ছেলে এবং মেয়েরা আরো বেশি শক্তিশালী এবং আরো বেশি সুন্দর হবে। এটা সরকারের একটা উৎসুক এক্সপেরিমেন্ট। কিন্তু আমার জন্য জীবন-মরন ব্যপার। কারণ আমি নিশ্চিত এ দেশের সবথেকে সুন্দরী যুবতী আর কেউ না। আমার স্ত্রী।
ওর সাথে আমার পরিচয় যখন আমি ওকে টিউশন করাতে যাই।
আমি তখন মেডিকেল এর স্টুডেন্ট। ভার্সিটির টপার।
একদিন একটা বয়স্ক লোক এক চায়ের দোকানে আমার সাথে দেখা করেন।
তিনি ছিলেন পুষ্পির বাবা।
আমাকে তিনি জানান, তার মেয়েকে পড়াতে হবে। মেয়ের বয়স ১৬। কিন্তু ও একাডেমিক লেখাপড়া শিখেনি৷ কেনো ওকে স্কুল কলেজে পড়াতে আগ্রহী না ওর বাবা এটা বুঝতে আমার মাস দুয়েক সময় লেগেছিলো। যখন ওকে প্রথম আমি দেখি।
আমার কাছে ও পড়াশোনা করতো বোরখা পরে। সবসময় নিকাব বাঁধা থাকতো। কিন্তু একদিন ও যখন আমার কাছে পড়তে আসার জন্য রেডি হচ্ছিলো, ওর রুমের সামনে থাকা পর্দাটা বাতাসে সরে যায়।ডায়নিং রুমে বসে থাকা অবস্থায় পর্দার ফাঁকা দিয়ে আমি ওকে দেখে ফেলি। সেদিন ওকে দেখা মাত্র আমি ওর বাসা ছেড়ে পালিয়ে চলে আসি। এরপর আমার বেঁচে থাকা খুব কঠিন হয়ে পরে। পুষ্পির চেহারা আমার মাথায় এমনভাবে গেঁথে গেছিলো! আমি ওকে ছাড়া চোখের সামনে আর কিছুই দেখতাম না। দিন পাঁচেক পরে আমি ওর ফোন পাই। পুষ্পি কাঁপা কাঁপা কন্ঠে জানায় ওর বাবা খুবই অসুস্থ। আমি ওর বাসায় পৌঁছানোর আগেই পুষ্পির বাবা ইন্তেকাল করেন।
এরপর পুষ্পির থেকেই জানতে পারি। ওর বাবা ছাড়া এ পৃথিবীতে ওর আর কেউ নেই।আমাকে ওর বাবার দাফন কার্যের দায়িত্ব নিতে হয়।এরপর পুষ্পির দেখাশোনার দায়িত্বটাও আমার উপরেই এসে পরে। ধীরে ধীরে আমাদের মাঝের সম্পর্ক সহজ হতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি ওর বাসায় থেকেই লেখাপড়া করতে থাকি। পুষ্পিকে ওর বাবা বাসার বের হতে দেয়নি কখনো। এজন্য ওর বাইরের জগৎ সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণা ছিলোনা।
এভাবে কেটে যায় বেশ কিছুদিন। পুষ্পিকে আমি ভালোবাসার কথা জানাই। আমার থেকেই ও সর্বপ্রথম ভালোবাসা কি তা বুঝতে জানে। এরপর আমাদের মাঝে সম্পর্ক আরো গভীর হয়। এক পর্যায়ে আমরা শারিরীক ভাবে মিলিত হই। এভাবে কেটে যায় দু'বছর।
আমি তখন খুব ভালো একজন ডাক্তার।
চারদিকে সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ছে।
এর মাঝে পুষ্পি সন্তানসম্ভবা হয়ে পরে। এটা জানার পর পরই আমি আর পুষ্পি বিয়ের কাজ টা সেরে ফেলি।
কিন্তু সমস্যাটা হয় ডেলিভারি টাইমে।
পুষ্পি হঠাৎ করেই বলতে শুরু করে, ওর বাচ্চাটাকে নাকি ডাক্তাররা মেরে ফেলবে।দুশ্চিন্তায় খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেয়। আমি ওকে হাজার বুঝিয়েও কিছুতেই মানাতে পারলাম না। অবশেষে যখন আমি ওকে বললাম, ঠিক আছে। তোমার ডেলিভারিতে আমি উপস্থিত থাকবো,
ও কিছুটা শান্ত হলো। তবে আমাকে দুটো কথা বললো-
আমার বাচ্চাটাকে যদি তুমি বাঁচাতে না পারো, তাহলে তুমি আমাকে খুব দ্রুত হারিয়ে ফেলবে।
এবং আমার সাথে কখনোই কথা বলতে পারবে না।
ওর কথায় আমি তেমন কান দিলাম না। যেদিন ডেলিভারির সময় এলো। সব নার্স এবং একজন গাইনী ডাক্তারের সাথে আমিও অপারেশন থিয়েটার এ উপস্থিত ছিলাম।
যখন ওর পেট কেটে বাচ্চাটা বের করা হবে ঠিক তখনই ওখানের কারেন্ট চলে যায়৷ চারদিকে ঝুম অন্ধকার নেমে আসে। সাধারণত এমন হওয়ার কথা না।
কারণ ভি আই পি হাসপাতাল গুলোতে লোডশেডিং হলেও আই পি এস এর ব্যবস্থা থাকে। তবে সেদিন আই পি এস কাজ করছিলো না। দ্রুত সেখানে মোমের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু বদ্ধ ঘরে কোথা থেকে বাতাস এসে মোমের আলোগুলোকে নিভিয়ে দিচ্ছে কে জানে! অবশেষে দ্রুত হ্যাজাক বাতির ব্যবস্থা করা হয়।
হ্যাজাক বাতির আলোতে যখন আমার সন্তান ডেলিভারি হয়, তখন আমি নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। একটা ফুটফুটে বাচ্চার বদলে আমি দেখতে পেলাম এক দলা গোল মাংশ পিন্ড। যার উপরে বড় বড় দুটো চোখ আছে। আর আছে অক্টোপাস এর মত সুরের মত তিনটা হাত। তিনটা হাতে, চারটা করে আংগুল। যে নার্স পুষ্পির পেট থেকে এটাকে বের করেছিলো সে সাথে সাথে হাত থেকে ওটাকে ফেলে দেয়। কয়েকজন তো বমি করতে শুরু করে। আমি নিজেও একজন ডাক্তার। এ অবস্থায় কি করা উচিৎ আমার মাথায় আসছিলো না। যার আন্ডারে অপারেশন টা হচ্ছিলো সে বললো, কিল ইট, কিল ইট।
পুষ্পির পেট থেকে এমন কিছু বের হয়েছে সেটাকে বাঁচিয়ে রাখার কোনো প্রশ্নই আসেনা। আমি দ্রুত আশেপাশে তাকিয়ে একটা রড খুঁজে পাই। আমি দ্রুত রডটা হাতে নিয়ে ঐ জন্তটার মাথায় বেশ কয়েকটা আঘাত করে ওটাকে মেরে ফেলি।
এ পর্যন্ত বলে ডাঃ সৃজন থামলেন।কিছুক্ষন চুপ করে থেকে
তিনি আবার বললেন, পুষ্পি জ্ঞান ফেরার পর থেকে থেকে একেবারেই বোবা হয়ে যায়৷ ও শুধু এক দিকে তাকিয়ে থাকে। কোন কথা বলেনা। কিছু বললে সেটার কোন উত্তরও দেয়না। পুষ্পি বেঁচে আছে একটা জীবন্ত পুতুল হয়ে।
আর মাত্র দু'দিন পর আমার বাসায় সরকারি লোক আসবে।
আমার স্ত্রীর ডেটা নেয়ার জন্য।এমন অবস্থায় আমি বুঝতে পারছিনা আমি ঠিক কি করবো?
তুমি কি আমাকে কোনোভাবে সাহায্য করতে পারবে বর্ণ?
বর্ণ এতক্ষন হা করে ডাঃ সৃজনের সব কথা শুনছিলো। সে জানে ডাঃ সৃজন মিথ্যা বলেনি। বর্ণ খুব বেশি চিন্তায় পরে যায়৷ তার এখন কি করা উচিৎ?
ডাঃ সৃজনকে এমন বিপদের হাত থেকে উদ্ধার করার চেষ্টা করা নাকি তার অসমাপ্ত অন্য একটি রহস্যের সমাধান করা?
ডাঃ সৃজনকে বর্ণ বলে,
আপনার ঘটনাটি আমি খুব মনোযোগ দিয়ে শুনলাম।
এবার আমি যে ঘটনার সমাধান খুঁজে পাইনি সেটার ভূমিকাটুকু আপনাকে শোনাই।
আমার কাছে গত তিন দিন আগে ২৯ বছর বয়সী একজন মহিলা এসেছেন। তিনিও সন্তান সম্ভাবনা এবং একটি প্রাইমেরি স্কুলের শিক্ষিকা। তিনি আমাকে জানান, তার পেটের সন্তানের যে বাবা সে ঐ স্কুলেরই একজন ছাত্র। যার বয়স মাত্র ১৩ বছর। তিনি একটি কঠিন সমস্যায় পড়েছেন, তা হলো ঐ স্কুল পড়ুয়া ছেলেটির মা খুন হয়েছে এবং এর দায়ভার চাপানো হয়েছে শিক্ষিকার উপরে। তিনি আমাকে জানিয়েছেন তিনি একেবারেই নির্দোষ এবং তিনি একটি বেনামি চিঠি পেয়েছেন, তা হলো ঐ ১৩ বছর বয়সী ছেলেটাকেও নাকি নির্মম ভাবে হত্যা করা হবে।
আমি এখন বুঝতে পারছিনা আমি কার জন্য কাজ করবো, আপনার এবং ঐ শিক্ষিকার দুজনের সমস্যাটাই গুরুতর, এবং দুক্ষেত্রেই আমার হাতে একদম ই সময় কম।
চলবে.....
- #গল্পঃ
এ_ব্যাড_ডিসিশন
Sundor
ReplyDeleteCool 😉
ReplyDelete